বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
The Daily Post

ভূঞাপুরের ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় 

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

ভূঞাপুরের ফুটপাতে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় 

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর মসজিদ মার্কেটের পাশে ফুটপাতে শীতরে কাপড়ের দোকানগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে নারী, পুরুষ, শিশু, তরুণ-তরুণীদের ও স্কুল কলেজের ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। শীতকে সামনে রেখে এখন গরম পোশাক কিনছেন সবাই। এখানে প্রতিদিনই ভিড় করছে নিম্ন আয়ের পাশাপাশি মধ্য ও উচ্চ আয়ের মানুষজন। 

উচ্চ আয়ের মানুষেরা বিভিন্ন নামি-দামি মার্কেট থেকে বিভিন্ন দামি গরম কাপড় কিনতে পারলেও মধ্যবৃত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা ফুটপাতের এই দোকানগুলো। খোলা মাঠে শীতের কাপড়ের মার্কেটগুলো মূলত গরীবের শীতের মার্কেট। তবে এখানে সব ধরনের মানুষই যায় কাপর কিনতে। সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা।

গত কয়েকদিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে  ইতোমধ্যে জমে উঠেছে গরীবের এই শীতের কাপড়ের মার্কেট। এসব ব্যবসায়ীরা শুধু শীতকে সামনে রেখে কাপড় কেনা-বেচা করে থাকেন। বছরের অন্য সময় এখানে তেমন কেনা-বেচা না হলেও শীতকে সামনে রেখে এখানকার ব্যবসা জমজমাট হয়। শীতের সময় বিক্রি করে যা লাভ হয় তাদিয়ে তারা সারা বছর সংসার চালায়। 

ভূঞাপুরে হকার দোকান ঘুরে দেখা যায়, ভুঞাপুর মসজিদ মার্কেটের পাশে ফাকা জায়গায় ২০টিসহ রাস্তার দুইপাশে মোট ৪০ থেকে ৫০টি দোকান বসেছে। শীতের তীব্রতা যত বাড়ছে ক্রেতার সংখ্যা তত বাড়ছে।

উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকার শীতের কাপড় কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন- গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীত নিবারনের জন্য আমরা প্রতিবছর এখান থেকে শীতের কাপড় কিনে থাকি। এ বছরও কিনতে এসেছি। মার্কেটের চেয়ে এখানে দাম অনেক কম, কাপড়ের মান গত বছরের চেয়ে এবছর একটু ভালো। পরিবারের সবার জন্য এখান থেকেই গরম কাপড় কিনেছি।

কাপড় ব্যবসায়ী মোকলেছুর রহমান বলেন, গত বছর পুরাতন শীতের কাপড়ের যে বেল্ট ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় আনা যেত, এ বছর সেই বেল্ট আনতে হচ্ছে ১৪ থেক ২০ হাজার টাকায়। বেল্টের দাম বেড়ে যাওয়ায় একটু বাড়িতে দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। বারতি টাকা লাগার কারণে ক্রেতাদেরও একটু বেশি টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।

টিএইচ